বুধবার, ০১ মে, ২০২৪
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
The Daily Post

আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ পাঁচজন কারাগারে 

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 

আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ পাঁচজন কারাগারে 

গত রোববার একটি জালিয়াতি মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন ও ইউপি সদস্য সুজন মিয়াসহ পাঁচজনকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার এমরান বাহার চৌধুরী ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন, একই উপজেলার পারকুল গ্রামের তেরা মিয়া, মো. নইম উল্লাহ, মশাহীদ মিয়া ও আউশকান্দি ইউপি মেম্বার সুজন মিয়াকে আসামি করে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সেলিমা বেগম, সাহেলা বেগম, সাবানা বেগম ও শাহিনা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামের বাসিন্দা। তারা মামলার বাদী এমরান বাহার চৌধুরীকে তাদের পৈতৃক বিষয়-সম্পত্তি দেখাশোনা করতে আম-মোক্তারনামা নিযুক্ত করেন।

সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগমের পিতা যুক্তরাজ্যে বসবাস করাকালীন সময়ে আসামি তেরা মিয়া ও মো. নইম উল্লাসহ তাদের অপর ভাই-বোনদের সব পারিবারিক খরচ বহন করাসহ দেশে প্রচুর জায়গাজমি ক্রয় করে তেরা মিয়া ও নইম উল্লাসহ তাদের ভাইবোনদের ভোগ-ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দেন।

কিন্তু আসামি নইম উল্লা অপরাপর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন, ইউপি মেম্বার সুজন মিয়া ও মোশাহিদ মিয়ার সহায়তায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে একটি জাল অঙ্গীকারনামা তৈরি করেন।

এ সময় সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগম লন্ডনে অবস্থান করলেও এলএ কেইস নং-০৬/২০০৭-০৮ স্বত্ব হিসেবে দাখিল করে ১৯১৫৩১ নং ট্রেজারি চেকমূলে এক লাখ ৯১ হাজার ৫৩১ টাকা আত্মসাৎ করেন।

অপর আসামি তেরা মিয়া আসামি মোশাহিদ মিয়া, সুজন মিয়া ও দিলাওর হোসেনের সহায়তায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া অঙ্গীকারনামা তৈরি করে এলএ কেইস নং-০৩/২০১০-১১ দেখিয়ে ট্রেজারি চেক নং-০২৭৭৭২৭ মূলে ছয় লাখ তিন হাজার ৩৯৪ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

উল্লেখ্য, ভুয়া নাদাবিনামাগুলোতে সাক্ষী সেলিমা বেগম ও শাহিনা বেগমের নাম বিকৃত করে বাংলায় স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারা জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় বাংলায় স্বাক্ষর করতে পারেন না এবং এ সময় তারা দেশেও ছিলেন না।

এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিয়ষটি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সিআইডিতে প্রেরণ করেন।

সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. দিলাওর হোসেন, ইউপি মেম্বার সুজন মিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেনসহ অন্যান্য আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

টিএইচ